পি এল সি কি? পি এল সি এর প্রাথমিক ধারনা - Tech Pro - Rokibul Islam

Post Top Ad

পি এল সি কি? পি এল সি এর প্রাথমিক ধারনা

Share This

 পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০১]

 

পি এল সি এর প্রাথমিক ধারনাঃ


পি এল সি (PLC) হল প্রোগ্রামএবল লজিক কন্ট্রোলার (Programmable Logic Controller)পি এল সি একটি ডিভাইস যার মাধ্যমে অতি সহজেই অন্যান্য যন্ত্র কন্ট্রোল করা যায়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটি মাইক্রোকন্ট্রোলার বিকল্প হিসাবে কাজ করে। মাইক্রোকন্ট্রোলার এবং পি এল সির মধ্যে পার্থক্য হল, মাইক্রোকন্ট্রোলার জন্য প্রোগ্রাম লেখার প্রয়োজন হয় কিন্তু পি এল সিতে লেডার ডায়াগ্রামের মাধ্যমে কাজটি অতি সহজেই করা যায়।


Plc



কিভাবে কাজ করেঃ

এটি এক প্রকার মাইক্রোপ্রসেসর বেইজ কন্ট্রোল সিস্টেম। এতে একটি প্রোগ্রামেবল মেমরি থাকে এই মেমরিতে বিভিন্ন প্রকার ইন্সট্রাকশন স্টোর করা থাকে, যার মাধ্যমে গানিতিক লজিক্যাল, টাইমিং, সিকুয়েন্সিং ইত্যাদি কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়। এটি মূলত মাইক্রোকন্ট্রোলারের অনুরূপ কাজ করে কিন্তু মাইক্রোকন্ট্রোলারের সাথে এর মূল পার্থক্য হল এটি ইন্ডাস্ট্রিতে হাই পাওয়ার কন্ট্রোলিং সিস্টেমকে কন্ট্রোল করতে ব্যবহৃত হয় অন্যদিকে মাইক্রোকন্ট্রোলার লো পাওয়ার এবং সুক্ষ কন্ট্রোল সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।

পি এল সি কাজ নির্ভর করে প্রথম ধাপে যে ইনপুট সিগন্যাল দেয়া হবে তা লেডার ডায়াগ্রামের মাধ্যমে প্রোসেসিং হয়ে দ্বিতীয় ধাপে কাঙ্ক্ষিত আউটপুট সিগন্যাল পাওয়া যাবে,যার মাধ্যমে অতি সহজে অন্যান্য ডিভাইস কন্ট্রোল করা যায়।

 

 

পি এল সির প্রয়োজনীয়তাঃ

যে কোন মেশিন আটোমেশন, রাসায়নিক শিল্পকারখানা, নেওক্লিয়ার পাওয়ার জেনারেশন প্লান্ট, হোম অটোমেশন, অটোম্যাটেড শিল্পকারখানাতে ব্যবহার করা হয়।


পি এল সি কিভাবে কাজ করেঃ

পি এল সি গঠিত হয়েছে তিনটি সেকশন নিয়ে।

  • .সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট।
  • . ইনপুট/আউটপুট।
  • . পাওয়ার সাপ্পালাই।

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০২]

 

পি এল সি কিভাবে কাজ করেঃ

পি এল সি গঠিত হয়েছে তিনটি সেকশন নিয়ে।

  • .সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট।
  • . ইনপুট/আউটপুট।
  • . পাওয়ার সাপ্পালাই।

পর্ব-


 ইনপুটঃ 

এখানে যাবতীয় ইনফরমেশন প্রদান করা হয়। এটি কোন সুইচ, সেন্সর, ভেরিএবল ভোল্টেজ, তাপমাত্রা ইনফরমেশন, ডাটা ইত্যাদির ইনফরমেশন সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট এ পাঠায়। এখানে প্রাপ্ত ইনফরমেশন গুলো মেনুয়াল ভাবে এবং মেশিন হতে দেয়া হয়।



সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিটঃ

এটি ইনপুট ডিভাইস হতে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে লেডার ডায়াগ্রাম অনুযায়ী আউটপুট ডিভাইসের বিভিন্ন অংশে পাঠায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ইনপুট ডিভাইস হতে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সি পি উ ডায়াগ্রাম অনুযায়ী নিজস্ব কিছু তথ্যও সংযোগ করতে পারে।


 

আউটপুটঃ

ইহা সি পি উ হতে আগত তথ্যগুলিকে রিলে সুইচের মাধ্যমে মেশিনে পাঠায়। এবং মেশিন সেই মোতাবেক কাজ করে থাকে। (মেশিনে ব্যবহৃত ডিভাইস অনুযায়ী রিলে ব্যবহার নাও করা লাগতে পারে)

মেশিন কর্মরত অবস্থায় সেন্সর সহ অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে পুনরায় ইনপুটে তথ্য প্রদান করতে থাকে।


 

পাওয়ার সাপ্পালাইঃ

এর কাজ হল ইনপুট, অউটপুট এবং সি পি উ কে প্রয়োজনিয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। এতে আরথিং কানেকশন বাঞ্ছনীয়। আরথিং না থাকলে প্রোগ্রাম ঠিকমত রান নাও করতে পারে, এমনকি ডিলেট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরথিং সম্পর্কে পরে আরও বর্ণনা দেয়া হবে।

 

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০৩]

 

 

প্রোগ্রাম লিখতে যে সমস্ত জিনিস লাগবেঃ

  • পি এল সি প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার।
  •  পি এল সি এর সি পি ইউ।
  • কম্পিউটার (ডেস্কটপ/ল্যাপটপ)
  • কমুনিকেশন কেবল।


এখানে কালো ব্লক করা যেটি দেখছেন এটি অনেকটা ইউ এস বি টু সিরিয়াল কনভার্টার এর মত দেখতে। যদিও এটি একটি MPI ক্যাবল যা সিমেন্স পিএলসিতে ব্যাবহার করা হয়। তবে উপরের ছবি থেকে ধারনা নিতে পারেন কিভাবে কম্পিউটার এর সাথে পি এল সি এর সংযোগ স্থাপন করা হয়।

পি এল সি প্রোগ্রামিং সফটওয়্যারঃ

প্রথমে সফটওয়্যার কম্পিউটার এ ইন্সটল করে নিতে হবে। সফটওয়্যার হতে হবে পি এল সি এর সমগোত্রীয়। প্রফেশনাল কাজের জন্য এটি পি এল সি কম্পানি থেকে কিনে নিতে হবে। তাছাড়া শিখার জন্য নেটে অনেক ফ্রি সফটওয়্যার পাওয়া যায় সিমুলেটর সহ। গুগুল মামার থেকে নিয়ে নিতে পারেন। আমি আপনাদের সুবিধার জন্য একটি লিংক দিয়ে দিলাম। এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সফটওয়্যারটি ১৩ মেগার মত সাইজ।

সফটওয়্যার টি দেখতে এই রকম। নিচের চিত্রটি লক্ষ করুনঃ

 

 ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://www.thelearningpit.com/lp/dwnloads.asp

ইনিস্টল করা খুব সহজ বিধায় ডিটেইল দিলামনা। উইন-৭ এ চলে।

এই সফটওয়্যার দিয়ে প্রোগ্রাম প্রেক্টিস করতে পারবেন। পি এল সি তে সংযোগ বা ডাউনলোড করতে পারবেন না। এর জন্য অরিজিনাল সফটওয়ার লাগবে। সফটওয়্যার সম্পর্কে পরে ডিটেইল লেখা হবে।


 

পি এল সি এর সি পি ইউঃ


 কোন প্রোজেক্ট এর প্রোগ্রামিং শুরু করার পূর্বেই আপনি কি বা কোন টাইপ পি এল সি ব্যবহার করবেন তা নির্ধারণ করে নিতে হবে। এর উপর ভিত্তি করেই প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার এবং কমুনিকেশন কেবল সংগ্রহ করতে হবে। ধরুন আপনি মিটসুবিশি কোম্পানির পি এল সি ব্যাবহার করবেন এফ এক্স সিরিজের। এই ক্ষেত্রে আপনি কতগুলি ইনপুট আউটপুট ব্যাবহার করবেন তা ঠিক করে মডেল সিলেক্ট করবেন। যদি আপনি Mitsubishi Fx 1N- 60MR/MT ব্যাবহার করেন তাহলে ৩৬টি ইনপুট এবং ২৪টি আউটপুট ব্যাবহার করতে পারবেন। এখানে MR হল রিলে আউটপুট এবং MT ট্রাঞ্জিস্টর আউটপুট। এই মডেলে CPU এবং  I/O একসাথে গঠিত। অর্থাৎ আপনি ইচ্ছে করলেই ইনপুট আউটপুট এক্সটেনশন করতে পারবেন না। Modular PLC তে এক্সটেনশন সম্ভব। একটি হল Compact PLC আরেকটি Modular PLC

কম্পিউটার (ডেস্কটপ/ল্যাপটপ)

উইন্ডোজ এক্সপি বেজ যে কোন ডেস্কটপ/ল্যাপটপ ব্যাবহার করতে পারেন। ইউ এস বি টু সিরিয়াল কনভার্টার ব্যাবহার করলে তার ড্রাইভার সফটওয়্যার ইনিস্টল করে নিতে হবে। তবে পুরানো মডেলের পি এল সির জন্য সরাসরি সিরিয়াল পোর্ট যুক্ত কম্পিউটার ব্যাবহার করতে হবে, কোন প্রকার কনভার্টার ছাড়া। এবং উইন্ডোজ ৯৮ বেজ হতে হবে।


 

 কমুনিকেশন কেবলঃ

বাজারে বিভিন্ন প্রকার ক্যাবল পাওয়া যায়, কিন্তু সবই ঠিকমত কাজ করে না। তাই ভালো মানের ক্যাবল এবং কনভার্টার ব্যাবহার করাই উত্তম। এবং এটি পি এল সি কম্পানি থেকে নেয়াই ভালো। খরচ কমাতে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভালো মানের শিল্ড ওয়ার এবং জেক/কানেক্টর সংগ্রহ করে সঠিকভাবে সংযোগ করতে হবে।

 

 প্রথমে কম্পিউটার অন করে সফটওয়্যার রান করতে হবে। নিউ প্রোজেক্ট সিলেক্ট করে তাতে মেশিনের প্রয়োজন অনুযায়ী লেডার ডায়াগ্রাম লিখতে হবে। লেখা শেষ হলে পি এল সি পিসির সাথে কানেকশন করে প্রোগ্রাম ডাউনলোড করতে হবে। উপরের চিত্রটি মিটসুবিশি এফ এক্স সিরিজের ক্যাবল।

আজ এই পর্যন্তই...........................

একটি কথা না বললেই নয় যে, আমি পি এল সি এর কাজ বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং নেট থেকে শিখেছি। এখানে ভুলত্রুটি মার্জনীয়। বর্তমানে ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ এ মেইন্টেনেন্স সেকশনে দায়িত্তপ্রাপ্ত আছি। কাজের ফাঁকে লিখতে হয় বিধায় দেরি হয়। পরবর্তী টিউনে কিভাবে লেডার ডায়াগ্রাম লিখতে হয় তা দেখাবো।

সবাই ভালো থাকবেন।

 

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০৪]

 

 

সেম্বলগুলো নিচে লক্ষ করুনঃ-

নরমালি ওপেন কন্টাক্ট।

নরমালি ক্লোজ কন্টাক্ট।

ভারটিক্যল লাইন।

হরাইজন্টাল লাইন।

নরমালি ওপেন কয়েল।

নরমালি ক্লোজ কয়েল।

পি এল সি ইনিস্ট্রাকশনাল সেম্বল ইত্যাদি।



 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মোটামুটি এই কয়েকটি দিয়েই কাজ করা সম্ভব। উপরের ছবি থেকে আশা করি ওপেন, ক্লোজ কন্টাক্ট, কয়েল এবং ইনিস্ট্রাকশন চিনতে পেরেছেন। এই চিত্রটির প্রোগ্রাম অমরন এর সফটওয়্যার দিয়ে করা।

চিত্রে C0001,C0003 এবং C0004 হল ওপেন কন্টাক্ট, C0002 হল ক্লোজ কন্টাক্ট, 0.01 হল ওপেন কয়েল, 0.02 ক্লোজ কয়েল। ভারটিকেল এবং হরাইজন্টাল লাইন লাল তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়েছে। ইনিস্ট্রাকশনের অনেক ব্যাবহার, টাইমার, কাউন্টার, বিভিন্ন প্রকার ডাটা ট্রান্সফার, স্পেশাল রিলে আরও অনেক কাজে এর ব্যাবহার রয়েছে। ছবিতে দেখুন একই ইনিস্ট্রাকশন দিয়ে কাউন্টার এবং প্রোগ্রাম সমাপ্ত করার কাজ করা হয়েছে। এতে ডিভাইসের নামের মাধ্যমে কেরেক্টার পরিবর্তন করা হয়েছে।

ডিভাইসের নাম এবং বর্ণনাঃ

এটি একটি বিষয় যে পিএলসি সিপিইউ এর উপর ভিত্তি করে ডিভাইসের নামকরন করা হয়। এখন একটি প্রশ্ন জাগে যে, সি পি ইউ ভিত্তিক ডিভাইসের কি কি নাম থাকতে পারে। এর সঠিক সমাধান হল, সি পি ইউ ভিত্তিক তার ব্যাবহার বিধি বই পড়ে ডিভাইসের নাম এবং ব্যাবহার জানতে পারবেন। গুগুলে সার্চ দিলে আশা করি সব বইই পাবেন।

আমি আপনাদের সাথে মিটসুবিশি এফ এক্স সিরিজের পি এল সির ডিভাইস নিয়ে আলোচনা করব। লক্ষ্য করবেন অমরন ডিভাইসের নাম এবং মিটসুবিশি ডিভাইসের নাম একই না। অমরন "C" দিয়ে এবং মিটসুবিশি "X" দিয়ে।

এফ এক্স সিরিজ ডিভাইসের বর্ণনাঃ

X- ফিজিক্যাল ইনপুটঃ

X এড্রেসগুলি ব্যাবহার করা হয় একটি ফিজিক্যাল ইনপুট কে নামকরন করার জন্য।

Y- ফিজিক্যাল আউটপুটঃ

Y ডিভাইসগুলি ব্যাবহার করা হয় একটি ফিজিক্যাল আউটপুট কে নামকরন করার জন্য।

M- অক্সিলারি রিলেঃ

এম রিলেগুলি অভ্যন্তরীণ বিট ডিভাইস। অভ্যন্তরীণ বিট যেকোনো ফাংশনএ প্রয়োজন হলে তাদের ব্যবহার করা সম্ভব। যখন একটি এম ডিভাইস কয়েল একটিভ হয়, তখন এম ডিভাইস পরিচিতি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

এম ডিভাইসএ ডেডিকেটেড একটি  ফাংশন গ্রুপ আছে. তারা M8000 ~ M8511. এর প্রত্যেকটি ফাংশনের বর্ণনা এফ এক্স এর প্রগ্রামিং মানুয়ালে পাবেন।

S- স্টেট রিলেঃ

S রিলেও অভ্যন্তরীণ বিট ডিভাইস। এদের ব্যাবহার করা হয় STL (Initial State) প্রোগ্রামিংএ যা ধাপ, বা লেডার লজিক কোডে সক্রিয়তা ইঙ্গিত আকারে নির্দেশ করে। যদি STL প্রোগ্রামিং ব্যবহৃত হয় না, এই একই পদ্ধতিতে বিট হিসাবে এম বিট ব্যবহার করা যাবে।

এটিকে ফল্ট প্রচারক হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। S900~S999 ব্যাবহার করা যাবে ফল্ট নির্দেশক হিসাবে। যাহার ডিটেইল এফ এক্স ম্যানুয়ালে পাবেন।

T- টাইমারঃ

টি ডিভাইস ডিফল্ট টাইমার দ্বারা টাইমার ডিভাইস হয়ে থাকে 100msec বাড়তি, 10msec বাড়তি, অথবা 1msec বাড়তি সময় হয় যা টাইমার ঠিকানার উপর নির্ভর করে। সর্বাধিক টাইমার, তাদের ঠিকানার উপর নির্ভর করে। এবং এদের কিছু non-retentiveঅর্থাৎ এরা কখনো বর্তমান সময় ধরে রাখেনা, ইনপুট শর্ত নিয়ে বেস্ত থাকে। T246 এর উপরের গুলি Retentiveএরা এদের ভ্যালু ধরে রাখে রিসেট না হওয়া পর্যন্ত। Retentive টাইমার ইনপুট ঠিকানার উপর নির্ভর করে 100msec  অথবা 1msec সময় বেজ হয়ে থাকে।

যখন একটা টাইমার যুক্ত প্রিসেট মান টি ডিভাইস কয়েলে একটিভ হয়, সংশ্লিষ্ট টি ডিভাইস কন্টাক্টও তার পরিচিতি হিসাবে সক্রিয় হয়। সব টাইমার 16 বিটের হয়, যার অর্থ সর্বাধিক প্রিসেট হয় +32767. বৈধ প্রিসেটগুলি হল K ভ্যালু এবং D ডাটা রেজিস্টার। একটি 100msec টাইমার এর জন্য সর্বাধিক সময় হয় 3276.7 সেকেন্ড। টাইমারের ভ্যালু বেকাপ থাকে বেকাপ ব্যাটারিতে, তাই ব্যাটারি খারাপ মানের বা ডিস্কানেক্ট হলে টাইমার রিসেট হবে।

C- কাউন্টারঃ

সি ডিভাইস হল কাউন্টার ডিভাইস। এর আদর্শ হল এটি ধারণক্ষম (Retentive), রিসেট না হওয়া পর্যন্ত এরা কাউন্টার নাম্বার ধরে রাখে। এবং ধরে রাখার কাজটি ব্যাকআপ ব্যাটারি করে থাকে। যখন একটা কাউন্টার যুক্ত প্রিসেট মান সি ডিভাইস কয়েলে একটিভ হয়, সংশ্লিষ্ট সি ডিভাইস কন্টাক্টও তার পরিচিতি হিসাবে সক্রিয় হয়। কাউন্টার 16 বা 32 বিট হতে পারে, যার অর্থ সর্বাধিক গণনা পরিসীমা হয় -32768 থেকে +32767 (16 বিট) বা -2,147,483,648 থেকে 2,147,483,647 (32 বিট)নেগেটিভ প্রিসেট খুব একটা ব্যাবহার করা হয় না। বৈধ প্রিসেটগুলি হল K ভ্যালুএবং D ডাটা রেজিস্টার।

 

সাধারনতঃ তিন ধরনের কাউন্টার হয়ে থাকে। ১৬বিট আপ কাউন্টার, ৩২বিট আপ/ডাউন কাউন্টার এবং ৩২ বিট উচ্চ গতি সম্পন্ন কাউন্টার। উচ্চ গতি সম্পন্ন কাউন্টার আবার তিন ধরনের হয়, ১ ফেজ, ২ ফেজ এবং এ/বি ফেজ কাউন্টার। কাউন্টারের আরও ডিটেইল ম্যানুয়াল থেকে পাবেন।

আজ এইটুকুই থাক। পরবর্তী টিউনে যা থাকবে............

D ডাটা রেজিস্টার, R and ER ফাইল রেজিস্টার এবং এক্সটেনশন ফাইল রেজিস্টার, V and Z ইনডেক্স রেজিস্টার, P - পইন্টার, K, H, and E নিউমেরিক্যল কনস্টান্ট, U\G বাফার মেমোরি এক্সেস।

সবাইকে ধন্যবাদ..........................................

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০৫]

 

 

D ডাটা রেজিস্টার, R and ER ফাইল রেজিস্টার এবং এক্সটেনশন ফাইল রেজিস্টার, V and Z ইনডেক্স রেজিস্টার, P - পয়েন্টার, K, H, and E নিউমেরিক্যল কনস্টান্ট, U\G বাফার মেমোরি এক্সেস।

যারা আগের টিউনগুলি পরেন নাই তারা এর আগামাথা কিছুই বুজবেননা। তাই পূর্বের দেখে নিতে পারবেন।

D ডাটা রেজিস্টারঃ

D ডিভাইসগুলো হল ডাটা রেজিস্টার। এটি যে কোন উদ্দেশ্যের জন্য ব্যাবহার করা যেতে পারে। সকল ডাটা রেজিস্টার ১৬ বিটের হয়ে থাকে, যার অর্থ হল সংখ্যা ভিত্তিক তথ্য সীমা ৩২৭৬৮ থেকে ৩২৭৬৭ পর্যন্ত। লেডার ডায়াগ্রামে আপনি ৩২ বিট অপারেশন সম্পাদন করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে পরপর ২টি D রেজিস্টার একসাথে ব্যবহার করতে হবে এবং সর্বোচ্চ সাংখ্যিক মান ২.১৪৭.৪৮৩.৬৪৭ থেকে -.১৪৭.৪৮৩.৬৪৮ হতে পারে। GX-Developer সফটওয়্যার এ এটা D ডিভাইসের ব্যাটারি ব্যাকআপে কনফিগার করা সম্ভব। এর মানে হল পাওয়ার লস হলেও বিটগুলি তাদের বর্তমান মান বজায় রাখতে পারবে। একটি বিশেষ রিলে M8033 কে অন করে সমস্ত রেজিস্টারের ডেটা ধরে রাখা সম্ভব।

পিএলসির উপর বেজ করে ফাইল এবং ডাটা রেজিস্টারগুলি একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়ে থাকে। তাদের পেরামিটারগুলি 500 গ্রুপ বিভাগে ঘোষণা দেওয়া থাকে। 500 গ্রুপের ঘোষিত প্রতিটি রেজিস্টার 500 স্টেপ হিসাবে পরিমান কমাতে থাকে।

ডাটা রেজিস্টার D8000 থেকে D8511 পর্যন্ত পিএলসির নিজস্ব সমস্যা এবং বিশেষ কিছু ফাংশনের জন্য চিহ্নিত করা আছে। এদের ডিটেইল FX3U এর প্রোগ্রামিং ম্যানুয়ালে পাবেন।

FX3U পিএলসিতে একটি শব্দের মধ্যে সরাসরি বিট অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা থাকে। শব্দটির ঠিকানা এবং বিট ঠিকানার মধ্যে একটি ডেসিমেল পয়েন্ট স্থাপন করে এটি করা সম্ভব। আপনি একটি শব্দের মধ্যে একটি একক বিটের অবস্থা উল্লেখ করতে পারেন। একটি উদাহরণ স্বরূপ D100.0 যার রেফারেন্স এ কমপক্ষে শব্দ D100 এর মধ্যে অর্থপূর্ণ বিট হতে হবে।


 R and ER ফাইল রেজিস্টার এবং এক্সটেনশন ফাইল রেজিস্টারঃ

R রেজিস্টারগুলি হল ফাইল রেজিস্টার। ফাইল রেজিস্টারগুলি হল বর্ধিত তথ্য বিশিষ্ট ডাটা সেট রেজিস্টার যা ব্যাটারি সাহায্যপ্রাপ্ত। তারা পিএলসি এর অভ্যন্তরীণ মেমরির মধ্যে সংরক্ষিত হয়, এবং লেডার লজিক প্রোগ্রাম থেকে একে সচল করা যায়।

ER রেজিস্টারগুলি হল এক্সটেনশন ফাইল রেজিস্টার। যখন পিএলসিতে মেমরি ক্যাসেট ইনস্টল করা থাকে তখন এক্সটেনশন ফাইল রেজিস্টার ব্যাবহার করা হয়, ER ডাটা মেমরি ক্যাসেটের মধ্যে সংরক্ষিত হয়। এক্সটেনশন ফাইল রেজিস্টারে ডেটা অ্যাক্সেস করার জন্য পিএলসির মধ্যে ডেডিকেটেড কমান্ড আছে। R ফাইল রেজিস্টারের মধ্যে তাদের বিষয়বস্তু অনুলিপি দ্বারা ER রেজিস্টারগুলি অ্যাক্সেস হয়।

 

V and Z ইনডেক্স রেজিস্টারঃ

ইনডেক্স রেজিস্টারগুলি V এবং Z সেম্বল দ্বারা নির্দিষ্ট করা হয়। V এবং উভয় 16 বিট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করা যাবে, এখানে শুধুমাত্র Z 32 বিট নির্দেশাবলীর সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। ইনডেক্স রেজিস্টারের স্টোরেড ভেলু একটি নির্দিষ্ট ডিভাইসের অফসেট হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে। সাধারণত ৮ মানের V ইনডেক্সসমূহ (V0-V7) এবং Z ইনডেক্সসমূহ (Z0-Z7) হয়ে থাকে। ইনডেক্সগুলি একটি প্রত্যয় হিসাবে তাদের ঠিকানা প্রোগ্রামের মধ্যে সংযুক্ত ঠিকানা দ্বারা ব্যবহৃত হয়।  যদি V অথবা Z একটি নম্বর ছাড়া উল্লেখ করা হয় তখন নম্বরটি 0 উহ্য হয়ে থাকে।

যদি V0 এর মান K2 ধরা হয়, তবে D10V হল D10 + 2 = D12. যদি Z2 এর মান K 8 ধরা হয়, তবে Y1Z2 = Y11. মনে রাখতে হবে X এবং Y এর ঠিকানা অকট্যাল এ হয়ে থাকে, তাই অফসেট নম্বর অকট্যালএ রূপান্তরিত হয় এবং বেস ঠিকানা যোগ হয়। কারণ ডেসিমেল ৮ হয় অকট্যাল ১০, ঠিকানাটি ১০এ বৃদ্ধি হয়। এই ধরনের ডিভাইসগুলি সাধারণত একটি রিং সংখ্যা ব্যবহার না করে একটি বৃহৎ পরিমাণ তথ্য ব্যবহার করার উপযোগী।

P - পয়েন্টারঃ

P এড্রেসগুলি হল পয়েন্টার। পয়েন্টারগুলি প্রোগ্রাম ফ্লো পরিবর্তন করার জন্য জাম্প, কল এবং নির্দেশাবলী ভঙ্গ করার কাজে ব্যাবহার করা হয়। Call এবং JMP ইন্সট্রাকশনগুলি প্রোগ্রাম স্ক্যান করে এক এলাকায় থামাতে এবং অন্যতে সরাতে পারে, যদিও একটি subroutine কলিং বা একই প্রোগ্রামে চলন্ত অন্য কোন স্থানে এটি করতে পারে।

পয়েন্টার সাধারণত ব্যাবহার হয়ে থাকে- ) একটি জাম্প বা কল নির্দেশ গন্তব্য এবং ২) একটি বিন্দু, সাবরুটিন বা জাম্প এর নাম হিসাবে।

K, H, and E নিউমেরিক্যল কনস্টান্টঃ

একটি নিউমেরিক কনস্টান্ট কে নির্দেশ করার জন্য K,H এবং E ব্যাবহার হয়ে থাকে। একটি পিএলসি ইনিস্ট্রাকশন "1" লেখা রিলে লেডার কোডকে চিনতে পারবেনা, কিন্তু K1 বা H1 কে চিনতে পারবে। কারন "K" একটি কন্সটেন্ট ডেসিমেল নির্দেশ করে। এবং "H" কে হেক্সাডেসিমেল কন্সটেন্ট হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে। "E" একটি ফ্লোটিং পয়েন্ট নিউমেরিক ভেলু নির্দেশ করে। কন্সটেন্ট সংখ্যা ডেসিমেল এ 16 বিট (-32768 থেকে 32767) বা 32 বিট (-2,147,483,648 থেকে 2,147,483,647) হতে পারে।

U\G বাফার মেমোরি এক্সেস(এফক্স3ইউ এর জন্ন)

একটি স্পেশাল ফাংশন মডিউলে U/G এড্রেস সিস্টেম ব্যাবহার করে সরাসরি বাফার মেমোরি এড্রেস কে সচল করতে পারবেন। U নম্বর দ্বারা SFM সংখ্যা, এবং G নম্বর দ্বারা বাফার মেমরির ঠিকানা নির্দিষ্ট করা হয়।


 

 এই পর্যন্তই হল এফ এক্স সিরিজের ডিভাইসের ডিটেইল। পরবর্তী টিউনে ডিজিটাল ইলেক্ট্রোনিক্স সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব। যদিও ডিজিটাল ইলেক্ট্রোনিক্স সম্পর্কে অনেকেই জানেন। তবুও পিএলসি বিষয়ক কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।

আজ এই পর্যন্তই...............

সবাই ভাল থাকবেন।

 

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০৬]

 

 

একটি কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন যে, টিটিতে অনেকেই এই বিষয়ে অভিজ্ঞ রয়েছেন। তাই আশা করছি আমার কোন ভুলত্রুটি থাকলে সঠিক পরামর্শ দিবেন।

পিএলসিতে 10 ডেসিমেল বেজ পদ্ধতি ছাড়াও বিভিন্ন নাম্বারিং সিস্টেম ব্যবহার হয়ে থাকে। একটি সফল প্রোগ্রামিং এর জন্য অন্যান্য সিস্টেমগুলো জেনে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই পাঠ শেষে আপনি কি কি জানতে পারবেন.........

  • . বিভিন্ন নাম্বারিং সিস্টেমের নাম।
  • . বিভিন্ন সিস্টেম সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করার বর্ণনা।
  • . নম্বর সিস্টেমের মধ্যে রূপান্তর করণ।

বাইনারি নাম্বারঃ

বাইনারি নাম্বার সিস্টেম এর মধ্যে, প্রতিটিকে বাইনারি ইউনিট, বা সংক্ষেপে বিট বলা হয়। বাইনারি সাধারণত দুইটি নাম্বার সিস্টেম বেজ হয়ে থাকে, যার অর্থ হল শুধুমাত্র প্রতিটি সংখার জন্য ২টি সম্ভাব্য মান হয়। প্রতিটি বিট এর মান শুধুমাত্র '0 'বা '1' হতে পারে।

  • ৪ বিটের একটি গ্রুপকে নিবল (NIBBLE) বলা হয়।
  • ৮ বিটের একটি গ্রুপকে (BYTE) বাইট বলা হয়।
  • ১৬ বিটের একটি গ্রুপকে ওয়ার্ড (WORD) বলা হয়।

একটি বিটএর অবস্থানে, একটি বাইট বা ওয়ার্ডের মধ্যে , তার মান নির্ণয় করা হয়। এবং তা ডান পাশ থেকে শুরু করা হয়, বিট সংখ্যা 0 এর মান হয় "1" আপনি যদি বাম দিকে যেতে থাকেন তবে বিটের মান প্রতিটি স্থানের সঙ্গে দ্বিগুণ হতে থাকেবে। বিট 1 এর মান হবে 2, বিট 2 এর মান হবে 4, বিট 3 এর মান হবে 8 এভাবে হতে থাকবে।

নিম্নলিখিত উদাহরণটি একটি বাইট হিসাবে দেখা যায়ঃ-

 


বাইনারি থেকে ডেসিমেল এ রূপান্তরঃ

এটি করতে, বাইনারির যে বিটটি "1" সেট করা আছে তার মান (Value)গুলি যোগ করলেই ডেসিমেল মান বের হবে। নিচে লক্ষ্য করুনঃ-


Binary Word          Decimal Value
0000 0001
………………... 1
0000 0010
………………... 2
0000 0100
………………... 4
0000 1000
………………... 8
0000 0011
……………… ...3
0000 0101
………………... 5
0000 0110
………………... 6

4 বিটের সংখ্যা আপনি 0 থেকে 15 পর্যন্ত গণনা করতে পারবেন ............

0000 0000 ………………. 0
0000 1111
………………. 15 (8+4+2+1=15)

হেক্সাডেসিমেল নাম্বারঃ

হেক্সাডেসিমেল একটি 16 নাম্বার সিস্টেম বেজ হয়ে থাকে, যার অর্থ হল শুধুমাত্র প্রতিটি সংখার জন্য ১৬টি সম্ভাব্য মান হয়। প্রতিটি অঙ্ক 0 থেকে 15 একটা সংখ্যা উপস্থাপন করে। এটিতে 9 এর তুলনায় বৃহত্তর মানের জন্য অক্ষর ব্যবহার দ্বারা সম্পন্ন হয়।

0 থেকে 9 পর্যন্ত গণনা সংখ্যা ডেসিমেলের মত একই হয়ে থাকে..................

DECIMAL ................. 0   1   2   3   4   5   6   7   8   9   10   11   12   13   14   15

HEXADECIMAL ........ 0   1   2   3   4   5   6   7   8   9   A     B     C     D     E    F

লক্ষ্য করুন হেক্সাডেসিমেল এ 9 এর পর থেকে 10 এর পরিবর্তে অক্ষর ব্যাবহার করা হয়েছে।

হেক্সাডেসিমেল এছাড়াও বাইনারির মাধ্যমে শর্টহেন্ড এ লেখা যায়।

প্রতিটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা 4 বিট বিশিষ্ট বাইনারি তথ্য উপস্থাপন করে। নিচে দেখুনঃ-

BINARY ...................... 0000   0010   0011   0100   1000   1001  1010  1011  1111

HEXADECIMAL ...........    0         2         3        4        8        9       A       B       F

 

অকট্যাল নাম্বারঃ

অকট্যাল একটি ৮ নাম্বার সিস্টেম বেজ হয়ে থাকে, যার অর্থ হল শুধুমাত্র প্রতিটি সংখার জন্য ৮টি সম্ভাব্য মান হয়। অকট্যাল সিস্টেমের নাম্বারগুলি হল ০ থেকে ৭ পর্যন্ত।

ডেসিমেল এ, যখন একটি গননা 9, 19 ইত্যাদি অতিক্রম করে, তখন গননা 0 থেকে পুনরায় শুরু করে। কিন্তু দশ অঙ্ক, এক দ্বারা মান বৃদ্ধি হয় (9 এর পরে আসে 10, 19 পরে আসে 20)

একই ভাবে, অকট্যাল এ গননা যখন 7 অতিক্রম করে, তখন 0 থেকে গণনা পুনরায় আরম্ভ করে এবং দশ অঙ্কে মান বৃদ্ধি হয়। সুতরাং 7 পরে আসে 10, 17 পরে আসে 20. নিচে দেখুনঃ-

DECIMAL .......... 0  1  2  3  4  5  6  7  8  9  10  11  12  13  14  15  16  17  18

OCTAL ............. 0  1  2  3  4  5  6  7  10 11 12  13  14  15  16  17  20  21  22

অকট্যাল ও বাইনারির মাধ্যমে শর্টহেন্ড এ লেখা যায়।

প্রতিটি অকট্যাল সংখ্যা 3 বিট বিশিষ্ট বাইনারি তথ্য উপস্থাপন করে। নিচে দেখুনঃ-

BINARY .......  000  010  011  100  001  101  110  111

OCTAL ..........   0     2      3      4      1      5     6     7

হেক্সাডেসিমেল এবং অকট্যাল এর জন্য একসঙ্গে একটা চার্ট করলে তা হেক্সা এবং অকট্যাল মধ্যে রূপান্তর করা সহজ হবে।

 

349AFh এই হেক্সা সংখ্যাটির অকট্যাল এ রূপান্তর দেখুনঃ-

HEXADECIMAL ........  3       4         9       A      F

BINARY .................. 0011  0100  1001  1010  1111

(Regroup into 3) ...... 00  110  100  100  110  101 111

OCTAL .................... 0       6       4        4        6        5       7

কিভাবে 4 সংখ্যা থেকে 3 সংখ্যা প্রুপে রুপান্তর করা হয়েছে তা বিভিন্ন রং দিয়ে বোঝানো হয়েছে।  সুতরাং 349AFh হয় 644657.

বাইনারি কোডেট ডেসিমেল(BCD):

বাইনারি কোডেড ডেসিমেল এ ডেসিমেল হিসাবে একই গণনা ক্রম (counting sequence) আছে, সংখ্যাগুলি 0~9 পর্যন্ত, কিন্তু বাইনারি হিসাবে ফরমেট একই থাকে। তবে প্রতিটি ডেসিমেল সংখ্যা ভেঙ্গে 4 টি বাইনারি সংখ্যায় হয়ে থাকে। যখন BCD বাইনারিতে রূপান্তর করা হয়, তখন প্রতিটি ডেসিমেল সংখ্যা ভেঙ্গে 4 টি বাইনারি সংখ্যায় পরিবর্তিত হয়।

ডেসিমেল 26=


 

ডেসিমেল ডিভাইসকে মনের মত ব্যাবহার করার জন্য BCD ডেভেলপ করা হয়। যেমন, থাম্বহুইল এবং সেভেন সেগমেন্ট ডিসপ্লে ইত্যাদি। ডেসিমেল ডিভাইসগুলি শুধুমাত্র 0 থেকে 9 গণনা করতে পারে। এবং এই কারনে তাদের 4 বিটের বাইনারি সংখ্যা দরকার হয়।

 

DECIMAL ... 2 9  12  30

BCD .............. 0000 0010  0000 1001  0001 0010  0011 0000

বাইনারি এবং BCD এর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় যখন ডেসিমেল থেকে পরিবর্তন করা হয়।

ডেসিমেল 12 কে বাইনারিতে রুপান্তর করলে, বিট 3 (যার মান 8 ) এবং বিট 2 (যার মান 4 ) "1" হয়।

BCD 12 কে বাইনারিতে রুপান্তর করলে, বিট 4 (যার মান 1) এবং বিট 1 (যার মান 2) "1" হয়।

এফ এক্স সিরিজ পিএলসিতে BCD থেকে বাইনারিতে পরিবর্তন করার জন্য কিছু ডেটিকেটেড কমান্ড থাকে।

বাইনারি থেকে BCD তে পরিবর্তন করার কমান্ড হল "BCD"

BCD থেকে বাইনারিতে পরিবর্তন করার কমান্ড হল "BIN"

নিচে নাম্বার সিস্টেম পরিবর্তনের কিছু উদাহরন দেওয়া হলঃ-

এই উদাহরনে, প্রদত্ত নম্বর সিস্টেমে নিম্নলিখিত সংখ্যাগুলি রূপান্তর করা হইল।

Convert decimal 2 to      HEX=2     BINARY=0010      OCTAL=2

Convert decimal 10 to    HEX=A    BINARY=1010       OCTAL=12

Convert decimal 16 to    HEX=10   BINARY=10000    OCTAL=20

Convert decimal 28 to    HEX=1C    BINARY=11100     OCTAL=34

Convert decimal 6 to     BCD=110

Convert decimal 16 to   BCD=10110

Convert decimal 35 to   BCD=110101

আশা করি আপনারা এ থেকে অনেক ধারনা পায়েছেন। এর পরেও যদি কারও বুঝতে সমস্যা হয় তবে কমেন্টস করে সমাধান নিতে পারেন।

এবং এই পর্যন্ত জানলেই আশাকরি পিএলসিতে প্রোগ্রামিং করতে পারবেন।

আপনাদের কমেন্টসের অপেক্ষায় রইলাম। সবাই ভাল থাকবেন।

ধন্যবাদ.................................

 

 

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০৭]

 

 

পিএলসি এর মধ্যে নিউমেরিক ডেটাঃ

বেশিরভাগ পিএলসিতে অ্যাপ্লিকেশনগুলীর তথ্য(Data) নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন হয়। এটি সাধারণত কাউন্টার এবং টাইমার এর ভ্যালুর ক্ষেত্রে সাধিত হয়। একটি বিশেষ ফাংশন মডিউল থেকে তথ্য পড়ে তারপর তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ইনফরমেশন বা উচ্চ পর্যায়ের গাণিতিক কম্পিউটেশন হিসাবে তৈরি করা হয়। একটি পিএলসি কিভাবে বিভিন্ন ধরনের ডেটা দেখতে এবং পরিচালনা করতে পারে তা বুঝতে পারা একজন প্রোগ্রামার এর পক্ষে খুবই জটিল।

এই পাঠ শেষে আপনি যা জানতে পারবেনঃ-

* একটি পিএলসি কিভাবে পূর্ণ সংখ্যা (Integer) এবং  ডেসিমেল (Decimal) সংখ্যাগুলি পরিচালনা করতে পারে।

পূর্ণসংখ্যার পরিচালনাঃ

একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা যে, পিএলসি ডিফল্ট হিসাবে শুধুমাত্র পূর্ণসংখ্যা তথ্য হ্যান্ডল করে থাকে। এর অর্থ হল এটি সকল নাম্বারগুলির মধ্যে শুধুমাত্র 1, 10, -2 ইত্যাদি দেখতে পারে। পিএলসি 3.14159 এর মত ভগ্ন সংখ্যা সনাক্ত করতে পারে না। এই রকম সংখ্যা লেখার চেষ্টা করলে তাতে ভুল (error) দেখাবে। যদি একটি গানিতিক অপারেশন এ 5 কে 3 দ্বারা ভাগ করার পর যদি রেজাল্ট 1.667 সম্পাদিত হয়, তবে পিএলসি দশমিক অংশ ড্রপ করে 1 এর একটা রেজাল্ট দিবে। এখানে উল্লেখ্য যে, এই উদাহরনে গানিতিক ইনিস্ট্রাকশনের ভিত্তিতে গন্তব্বের রেজিস্টার অনুসারে ডাটা রেজিস্টারে 2 হিসাবে জমা হয়।

16 বিট নাম্বারঃ

পূর্ণসংখ্যাগুলি পিএলসির মধ্যে 16 বিটের নাম্বার হয়ে থাকে। যদি তা না থাকে, অন্যথায় তা প্রোগ্রামিং দ্বারা ঘোষিত হয়ে থাকে। আমরা বাইনারি নাম্বার পাঠে ফিরে যেতে পারি, এর মানে হল যে পূর্ণসংখ্যার(integer) জন্য সাংখ্যিক পরিসীমা হয়ঃ 0000 0000 0000 0000 থেকে 1111 1111 1111 1111 পর্যন্ত। এটিকে ডেসিমেল এ পরিবর্তন করলে তা পিএলসির জন্য পূর্ণসংখ্যার পরিসীমা 0 থেকে 65,535 হয়।

পূর্ণসংখ্যার পরিসীমা আসলে + 32,767 থেকে -32,768 হয়ে থাকে। এই কারনে বাম দিকে যে বিটটি (bit 15) সর্বাধিক দূরবর্তী সেটি পিএলসি দ্বারা চিহ্নিত বিট (sign bit) হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এই বিট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিট (Most Significant Bit "MSB") নামেও পরিচিত। যদি MSB "1" হয়, তবে নাম্বারটি নেগেটিভ। যদি MSB "0" হয় তবে নাম্বারটি পজেটিভ। সুতরাং প্রকৃত বৃহত্তম ধনাত্মক সংখ্যা হল 0111 1111 1111 1111 যা 32,767. প্রোগ্রাম যদি বৃদ্ধিশীল হয়ে 32,767 এর উপরে যায় তবে এটি -32,768 তে যায়। প্রোগ্রাম যদি একটি নম্বর নিম্নগামী হয়ে -32,768 এর নীচের যায়, এটি 32,767 তে যায়।

 

1000 0000 0000 0000 = -32,768. কেন এই রকম?

 

পিএলসিতে নেগেটিভ নাম্বার ডিসপ্লে করার জন্য একটি সংখ্যায়ন বিন্যাসে দুই এর সম্পূরক (twos complement) হিসাবে পরিচিতি ব্যবহার করে। দুই এর সম্পূরক গণনা করা সহজঃ

. সমস্ত 1 কে 0 তে এবং 0 কে 1 এ রুপান্তর। এই নতুন নম্বর সম্পূরক হিসাবে পরিচিত হয়।

. নাম্বারটিতে 1 সংখ্যা যোগ করণ।

0111 1111 1111 1111         এটি হল 32,767.

1000 0000 0000 0000      এটি হল সম্পূরক (চিহ্নিত বিটটি (sign bit) সম্পূরকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না, কিন্তু নেগেটিভ সংখ্যা তৈরি করার জন্য এই নাম্বারের সাথে 1 দরকার হয়)

+                            1 1 যোগ করা হল।

1000 0000 0000 0001      এটি হল  32,767.

1000 0000 0000 0000      এটি হল -32,767 চেয়ে 1 কম, তাই এটা -32,768.

একটি দুই এর সম্পূরক (twos complement) সঞ্চালন করার জন্য NEG কমান্ড ব্যাবহার করা হয় 16 বিট অথবা 32 বিটের ডাটাকে নেগেটিভ থেকে পজেটিভ এ পরিবর্তন করার মাধ্যমে।

 

32 বিট নাম্বারঃ

আগেই বলেছিলাম, ইন্টিজার হল ডিফল্টরূপে 16 বিট। যখন কিছু কমান্ড, পরে আলোচনা করা হবে বলা হয়, এবং সেটি যখন ব্যবহৃত হয়, তখন এটা 32 বিট সংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যখন এটা করা হয়, তখন পিএলসি দুটি 16 বিট রেজিস্টারকে একটি বৃহৎ রেজিস্টার হিসাবে দেখে। 15 বিট MSB হিসাবে আর গণ্য হয় না। পিএলসি এখন বিবেচনায় 32 বিট হিসাবে MSB কে গণ্য করবে। পিএলসি এই পূর্ণসংখ্যার প্রদর্শন করতে -2,147,483,648 থেকে 2,147,483,647 পরিসীমার মধ্যে থাকবে। (শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক নোটেশন ব্যবহার ব্যতীত, নিচে দেখুন)

যখন 32 বিট নির্দেশাবলী ব্যবহৃত হয়, তখন এটা খেয়াল করা জরুরী যে, নম্বর গন্তব্য রেজিস্টার (destination register) এবং অনুসরণ রেজিস্টার (following register)উভয়  দখল করে। যখন প্রোগ্রাম লিখবেন তখন এটি অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিবে, কারন দ্বিতীয়বার রেজিস্টারে overwriting ডেটা অনিশ্চিত ফলশ্রুতি হতে পারে।


ডেসিমেল সংখ্যা পরিচালনাঃ

উপরের হিসাবে উল্লেখ হয়েছে, ডেসিমেল সংখ্যা পরিচালনা করার জন্য ডিফল্ট পদ্ধতি তাদের ড্রপ করবে। এই সীমাবদ্ধতা float flag (M8023) সেটিং এবং ফ্লোটিং পয়েন্ট নির্দেশাবলী ব্যবহার এর মাধ্যমে এড়ানো যেতে পারে। যা FX3U এর প্রোগ্রামিং ম্যানুয়াল এ দেয়া আছে।

ডেসিমেল সংখ্যা দেখানোর জন্য 2টি ফর্ম্যাট হয়ে থাকেঃ সায়েন্টিফিক নোটেশন এবং ফ্লোটিং পয়েন্ট ফরমেট।

সায়েন্টিফিক নোটেশনঃ

সায়েন্টিফিক নোটেশন দুটি রেজিস্টার ব্যাবহার করে, তা অংশক (mantissa) এবং সূচক (exponent) এ জমা করে থাকে। অংশক হল একটি নাম্বারের প্রথম 4 টি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা, এবং সূচক দেখায় ডেসিমেল এর অবস্থান। এগুলি বিন্যাস গণনার জন্য ব্যবহার করা হবে না, কিন্তু তথ্য প্রদর্শনের জন্য দরকারী হয়।

উদাহরণঃ 1,238,900 সংখ্যাটি প্রদর্শিত হবে 1238 x 10³ হিসাবে। 1238 হল অংশক এবং 10³ ইঙ্গিত দেয় ডেসিমেল হল ডান দিকের তিন জায়গা, এটি একটি সূচক।

 

0 এবং 1 অথবা 0 এবং -1 মধ্যে একটি নম্বর একটি নেগেটিভ সূচক উপস্থাপন করে। সূচক তা দেখায়, অংশক যে পরিমান জায়গা অবশিস্ট রাখে এবং সেটি ডেসিমেল হিসাবে সনাক্ত করে।

উদাহরনঃ .00123 সংখ্যাটি প্রদর্শিত হবে 123 x 10-5 হিসাবে।

এই বিন্যাসের ফলে সাধারণ 32 বিট পরিসীমার বাইরের নম্বর (~ + / - 2 বিলিয়ন) প্রদর্শন করবে। সংখ্যা পরিসীমা হল 9999 x 1035 থেকে -9999 x 1035 পর্যন্ত। কারবার নিষ্ক্রিয় করে একটি স্পষ্ট ক্ষতি করে শুধুমাত্র 4 উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগুলি।

একটি বৈজ্ঞানিক নোটেশন নম্বর জমা করার পদ্ধতিঃ অংশক D রেজিস্টার এ সংরক্ষিত হয়, এবং সূচক D +1 এ সংরক্ষিত হয়। উপরোক্ত হিসাবে উদাহরণ, যদি 1,238,900 সংখ্যা D0 তে সঞ্চিত এবং .00123 সংখ্যা D2 এ সংরক্ষিত থাকে, তবে তথ্য নিবন্ধনের অনুসরণ হিসাবে প্রদর্শিত হবেঃ

D0    1238
D1    3
D2    123
D3    -5

ফ্লোটিং পয়েন্টঃ

অনুরূপ, বৈজ্ঞানিক নোটেশন ফর্ম্যাটের মতই, এই বিন্যাস নম্বর প্রদর্শন করে D রেজিস্টার এবং D+1 রেজিস্টারে। অংশক সমস্ত D এর 16 বিট এবং D+1 এর প্রথম 7 বিট দখল করে। সুচক D+1 এর শেষের 9 বিট, সাথে 15 বিট চিহ্নিত বিট হিসাবে কাজ সম্পাদন করে।


 

 ফ্লোটিং পয়েন্ট বিন্যাসে জন্য D এবং D+1 এর মান কখনো মনিটর এবং ব্যাখ্যা করা সম্ভব না, একই ভাবে বৈজ্ঞানিক নোটেশন মনিটর করা যায়। ফ্লোটিং পয়েন্ট সংখ্যার উপস্থাপনা একটি বিশেষ বিন্যাসে অনুসরণ করা হয় যা IEEE (Institute of Electrical and Electronic Engineers) দ্বারা প্রস্তাবিত।

এই বিন্যাস ব্যবহার করার প্রধান সুবিধা হল বৈজ্ঞানিক নোটেশনের উপর নির্ভুলতা। ফ্লোটিং পয়েন্ট বিন্যাসে pi (~ 3.1415926) সংখ্যাটি প্রদর্শিত হবে 3.141592 (7 significant digits) হিসাবে, এবং 3142 x 10-3 এর মত হবে বৈজ্ঞানিক নোটেশন এ।

 

এই পর্যন্তইআশিকরি কিভাবে পিএলসিতে নিউমেরিক ডেটা ব্যাবহার করা হয় তা হয়তো কিছুটা বুঝতে পেরেছেন।

পরবর্তী পোস্টে থাকবে "বেসিক ইন্সট্রাকশন"....................................

সবাই ভালো থাকবেন।

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০৮]

 

 

পিএলসি ইন্সট্রাকশনের ধরনঃ

একটি পিএলসির জন্য একটি প্রোগ্রাম লিখতে, পিএলসি ইন্সট্রাকশন সেট আপ করার জন্য বিভিন্ন নির্দেশাবলীর সাথে পরিচিত হওয়া খুবিই প্রয়োজন। একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র এখানে প্রদান করা হলো, আরো বিস্তারিত তথ্য পাবেন পি এল সি সংশ্লিস্ট পাঠ অনুসরণ করে। এখানে উল্লেখ্য যে পিএলসি এর টাইপ অনুযায়ী ইন্সট্রাকশন এর ভিন্নতা রয়েছে। শুরু থেকেই বলছি, মিতসুবিশি এফ এক্স সিরিজ অনুযায়ী এই পাঠ্যক্রম চলছে।

আজকের এই পাঠ শেষে আপনি যা জানতে পারবেনঃ-

 3 টি বিভিন্ন প্রকার নির্দেশাবলীর বর্ণনা।

 সবচেয়ে সাধারণ মৌলিক নির্দেশাবলীর নাম।

 নির্দেশাবলীর বিন্যাস এবং এরা কি করে তা জানা।

বেসিক প্রোগ্রাম নির্দেশাবলীঃ (Basic Program Instructions)

এই কেটাগরিতে 4 টি মৌলিক বিট ডিভাইস (X, Y, M, এবং S), টাইমার ডিভাইস, কাউন্টার ডিভাইস এবং অপারেশনের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকা ডিভাইস উল্লেখ করে। এর মধ্যে আরও রয়েছে সেট, রিসেট এবং পালস  ফাংশন। এই নির্দেশাবলী দ্বারা একটি প্রোগ্রামের 80 ~ 90 পারসেন্ট কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।

লেডার সেটআপ নির্দেশাবলীঃ(Step Ladder Instructions)

 

লেডার সেটআপ নির্দেশনা ব্যাবহার করা হয় স্টেপ লেডার প্রোগ্রামিং (STL) এ। এই প্রোগ্রামিং অনুরূপ SFC প্রোগ্রামিং এর মত, যা এটি একটি ফ্লো চার্ট আকারে দেখা যাবে। কিন্তু ফ্লো চার্ট ঊহ্য থাকবে এবং কোড প্রকৃতপক্ষে লেডার লজিকে রচিত হবে। লেডার লজিকে যখন প্রগ্রামিং করা হবে, তখন STL কন্টাক্ট একটি কমন নির্দেশনা যা একটি স্টেট সক্রিয় কিনা তা চেক করবে। S রিলেগুলি স্টেট ইন্ডিকেট করার জন্য ব্যাবহার করা হয়।

STL প্রোগ্রামিং সাধারণত এই ক্লাসে অন্তর্ভূক্ত না। যাইহোক, চমৎকার ব্যাখ্যা ও উদাহরণ পাওয়া যাবে FX3U প্রোগ্রামিং ম্যানুয়ালে।

ব্যবহারিক নির্দেশাবলীঃ(Applied Instructions)

এই নির্দেশাবলী হল FX লাইনের 'দক্ষ' নির্দেশাবলী। এই নির্দেশাবলী দ্বারা পিএলসির জটিল তথ্য সংক্রান্ত হেরফের, গাণিতিক অপারেশন, এবং যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন। সর্বাধিক নির্দেশাবলীর কাজ প্রয়োগ করা হয় 16 বিট বা 32 বিট ওয়ার্ড লেভেলে।

.........................................................................................................

যেহেতু বেসিক ইন্সট্রাকশন দিয়ে প্রোগ্রামের 80~90 পারসেন্ট লিখতে পারবেন সেহেতু এর ব্যাবহারবিধিও অনেক।

বেসিক নির্দেশাবলীঃ(Basic Instructions)

বেসিক নির্দেশাবলী হল বিট নিয়ন্ত্রণ নির্দেশাবলী। সাধারণত তারা 90% পর্যন্ত লেডার প্রোগ্রাম গঠন করে। এদের ইনপুট অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য মেনিপুলেট আউটপুট, বিট সিফট এবং মাস্টার কন্ট্রোল নেস্টিং কন্টাক্ট গুলি ব্যবহার করা হয়।

সেম্বলঃ

পূর্বে এই সম্পর্কে কিছু ধারনা দিয়েছিলাম। এখন ডিটেইল দিচ্ছি।


 নরমালি ওপেন কন্টাক্টঃ এই চিহ্ন সংযুক্ত হবে যখন ডিভাইস কর্মশক্তি পাবে। নির্দেশ মোডে, স্মৃতিসংক্রান্ত হয় LD, যা হয়ে থাকে LOAD এর জন্য। এই চিহ্ন 1 স্টেপ প্রোগ্রাম স্থান দখল করে।



নরমালি ক্লোজ কন্টাক্টঃ এই চিহ্ন সংযুক্ত হবে যখন ডিভাইস কর্মশক্তি পাবেনা। নির্দেশ মোডে, স্মৃতিসংক্রান্ত হয় LDI, যা হয়ে থাকে LOAD INVERSE এর জন্য। এই চিহ্ন 1 স্টেপ প্রোগ্রাম স্থান দখল করে।



কয়েল কন্ট্রোলঃ এই চিহ্ন সব সময় ডানদিকে ভারটিক্যাল লেডার রেইলের আগে প্রদর্শিত হবে। এটি তখন কর্মশক্তি পাবে যখন লজিকে আগে এটিকে সঞ্চালন করা হবে। যখন কর্মশক্তি প্রাপ্ত হয়, তখন একই আউটপুটের সাথে ঠিকানা সক্রিয় হয়ে ওঠে। নির্দেশ মোডে OUTPUT ACTIVATE এর জন্য স্মৃতিসংক্রান্ত হয় OUT. এই চিহ্ন সাধারণত 1 স্টেপ প্রোগ্রাম স্থান দখল করে, যদি না এটি টাইমার এবং কাউন্টারের নির্দেশাবলীর করনে 5 স্টেপ স্থান দখল করে থাকে।




ব্রাকেট কন্ট্রোলঃ এই চিহ্ন সাধারণত ডানদিকে ভারটিক্যাল লেডার রেইলের আগে প্রদর্শিত হয় যখন বিট নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই চিহ্ন সাধারণত ব্যবহার করা হয় ওয়ার্ড ডিভাইস কমান্ডের জন্য। কিন্তু কয়েকটি বিট ইন্সট্রাকশন ব্রাকেট চিহ্ন দিয়ে সঠিক ভাবে ব্যাবহার করা যায়। এটি তখন কর্মশক্তি পাবে যখন লজিকে আগে এটিকে সঞ্চালন করা হবে। এই চিহ্ন ব্যাবহৃত কমান্ডের উপর ভিত্তি করে প্রোগ্রমের একাধিক স্টেপ দখল করে।

 

ইনভার্টঃ এই চিহ্ন পূর্বের সমস্ত লজিক উল্টে দেয়। যদি লজিকটি ইনভার্ট পইন্টের পূর্বে সত্য (positive) হয়, তবে ইনভার্টের আউটপুট মিথ্যা (negative) হয়। এবং যদি লজিকটি মিথ্যা হয়, তবে ইনভার্টের আউটপুট সত্য হয়।

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগে উপরের ধারণাগুলি পরিস্কার হওয়া। এই চিহ্নগুলি প্রাথমিকভাবে ডিভাইসের নিজস্ব অ-সক্রিয় অবস্থা প্রকাশ করার জন্য ব্যাবহার করা হয়। তবে বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে অনুমোদিত হলে, ডিভাইসের মাধ্যমে সঞ্চালনপ্রাপ্ত হয়ে এর অবস্থা প্রকাশ করে।

উদাহরণস্বরূপ, একটি বাতির সুইচ বন্ধ অবস্থায় (-সক্রিয় অবস্থা), কোন কারেন্ট প্রবাহিত হয় না (যে পর্যন্ত অন না করা হবে)এই অবস্থায় সুইচ অন করলে(সক্রিয় অবস্থা), ইলেক্ট্রিক্যালি কারেন্ট ফ্লো করবে এবং বাতিটি জ্বলে উঠবে। এ থেকে বুঝা যায় লাইট সুইচ হল নরমালি ওপেন কন্টাক্ট।

নরমালি ক্লোজ কন্টাক্ট হল সবসময় এর বিপরীত। সুইচ সক্রিয় না হওয়ার আগ পর্যন্ত কারেন্ট প্রবাহিত করতে থাকবে। একটি সাধারণ উদাহরণ হল একটি ই-স্টপ (ইমারজেন্সি স্টপ)একজন অপারেটর ইমারজেন্সি সুইচে হিট না করার আগ পর্যন্ত কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকবে। সুইচে হিট করলে সুইচটি ডিস-কন্টাক্ট হবে এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হবে।


চিত্র দুটির টাইমিং চার্ট লক্ষ্য করুন। ১ম চিত্রে, ইনপুট একটিভ না হলে আউটপুট একটিভ হয়না। ২য় চিত্রে, ইনপুট একটিভ না থাকলে অউটপুট একটিভ।

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০৯]

 

 

আজকের এই পাঠ শেষে আপনি যা জানতে পারবেনঃ-

 নির্দেশাবলী কিভাবে ব্যাবহার করে তা জানা।

 সবচেয়ে সাধারণ নির্দেশাবলীর নাম এবং তার ব্যাবহার।

লেডারের মূলতত্বঃ (Ladder Basics)

কন্টাক্ট এবং কয়েলগুলির শ্রেণীবিন্যাস নির্ধারণ করে কিভাবে একটি লেডারের ধাপ প্রক্রিয়াকৃত হবে।

যদি দুই বা ততোধিক ডিভাইস সিরিজে (একের পর এক) স্থান পায়, তবে তারা AND ইন্সট্রাকশন হিসাবে কাজ করে। লেডারের ধাপগুলির ক্ষমতা প্রবাহিত করার জন্য, সমস্ত শর্ত প্রকৃতভাবে তৈরি করা আবশ্যক।


যদি দুই বা ততোধিক ডিভাইস সমান্তরাল (পেরালাল) হয়, তবে তারা একটি OR কন্ডিশন হিসাবে পরিচালিত হয়। OR কন্ডিশন ক্ষমতা প্রবাহিত করার জন্য একাধিক পথ ব্যাবহার করে।

 

AND / OR কন্ডিশন দ্বারা সংযুক্তভাবে জটিল লেডার ধাপ নির্মাণ করা যায়।


উল্লেখ্যঃ একটি লেডারের ধাপএ একটি ইনপুট শর্ত থাকতে হবে, এবং আউটপুটএ একটি বর্তনী সম্পূর্ণ করা থাকতে হবে। যদি একটি কমান্ড সবসময় অন করা থাকে, তবে সেখানে একটি বিট সেটি সামনে অবস্থান করবে, এড্রেস হবে M8000. এই বিটটি সবসময় অন থাকে। আউটপুট কুণ্ডলী বা bracketed নির্দেশ সরাসরি বাম শক্তি রেল এ সংযুক্ত করা অনুমোদিত নয়।

সাধারণ নির্দেশাবলীঃ (Common Instructions)

SET বিট সেট
RST
বিট রিসেট

SET ইন্সট্রাকশন কুন্ডলী আকারে ডিভাইসকে অন করে। RST (রিসেট) নির্দেশ একটি কুন্ডলীকে রিলিজ করে।


PLS ক্রমবর্ধমান এজ পালস (Rising Edge Pulse)
PLF
পতনশীল এজ পালস (Falling Edge Pulse)

PLS নির্দেশ ইনপুট অবস্থার পজেটিভ প্রান্তের ট্রিগার অন করে, অপরদিকে PLF নির্দেশ ইনপুট অবস্থার নেগেটিভ প্রান্তের ট্রিগার অন করে। উভয়ের ফলাফল হল, পালসিং (pulsing) একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস অন করার জন্য মাত্র একটি লেডার স্ক্যান করে।


 পালসিং (Pulsing) কন্টাক্টের জন্য অন্য একটি পদ্ধতি হচ্ছে ক্রমবর্ধমান প্রান্ত এবং পতনশীল প্রান্ত পালস বিট। এই বিট একটিভ হয় শুধুমাত্র অনুরুপভাবে PLS এবং PLF ইন্সট্রাকশন একবার স্কেন করার মাধ্যমে।


 

 ক্রমবর্ধমান এজ পালস (Rising Edge Pulse): ক্রমবর্ধমান এজ পালস হল একটি এক স্কেন পালস বেজ যার এড্রেস কন্টাক্ট এর উপর দেখানো হয়েছে। PLS ইন্সট্রাকশন হিসাবে M বিট এবং একটি ইনপুট হিসাবে X003 ব্যাবহার করা হয়েছে। এই কমান্ডের বিষয় হল, একটি এক স্কেন পালস লজিক অনুসরণ করে।


 

 পতনশীল এজ পালস (Falling Edge Pulse): পতনশীল এজ পালস হল একটি এক স্কেন পালস বেজ যার এড্রেস কন্টাক্ট এর উপর দেখানো হয়েছে। PLF ইন্সট্রাকশন হিসাবে M বিট এবং একটি ইনপুট হিসাবে X004 ব্যাবহার করা হয়েছে। এই কমান্ডের বিষয় হল, একটি এক স্কেন পালস লজিক অনুসরণ করে।

ALT - টগল বিট (Toggle Bit)

ALT কমান্ড একটি নির্দিষ্ট বিট অবস্থাকে টগল করে। যদি বিট অন হয়, তবে এটি অফ এ পরিণত হয়। যদি বিট অফ হয়, তবে এটি অন এ পরিণত হয়।


 

 ZRST জোন রিসেট (Zone Reset)

 

ZRST (জোন রিসেট) কমান্ড এড্রেসের একটি পরিসীমা রিসেট করতে ব্যবহৃত হয়। এখানে RST একটি সিঙ্গেল বিট রিসেট করে, শুরু এবং শেষ ঠিকানা নির্দিষ্ট করা হয়। ঠিকানার পরিসীমা বিট, ওয়ার্ড, টাইমার, বা কাউন্টার হতে পারে। যখন ওয়ার্ড এর এড্রেসগুলি উল্লেখ করা হয়, তখন তারা 0 মানে রিসেট হয়। দ্বিতীয় প্যারামিটার (শেষ ঠিকানা) প্রথম প্যারামিটার (শুরু ঠিকানা) এর বেশী হতে হবে।


 

 এই পর্যন্তই ছিল আজকের পাঠ.................................

আগামি পর্বে থাকবে প্রোগ্রাম তৈরি এবং সংশোধন করা (Develop & Edit Programs).

 

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-১০]

 

এবার মুল কথায় আসি। আজ থাকবে প্রোগ্রাম তৈরি এবং সংশোধন করা (Develop & Edit Programs).

প্রোগ্রাম তৈরি এবং সংশোধন করা (Develop & Edit Programs):

এখন সময় হল আপনার শিক্ষার ভিত্তিতে তার প্রতিফলন ঘটানো। এই অধ্যায় এ আমরা একটি সফটওয়ার ওপেন করব, কিছু সিম্পল প্রোগ্রাম লিখব, প্রোগ্রামটি পিএলসিতে ডাউনলোড করব এবং প্রোগ্রামের অপারেশন চেক করব।

আজকের এই পাঠ শেষে আপনি যা জানতে পারবেনঃ-

সফটওয়ারের ব্যাবহার।

ছোট প্রোগ্রাম লেখা।

কম্পিউটার থেকে পিএলসিতে প্রোগ্রাম ট্রান্সফার করা।

 অনলাইনে এডিটিং করা।

প্রোগ্রাম মনিটর করা।

 

প্রোগ্রামের ভেলু সফটওয়ারের মাধ্যমে পরিবর্তন করা।

ডাটা রেজিস্টারের ভেলু মনিটর করা।

আমি যদি একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যার বেজ করে শিখাই তাহলে মনে হয় শিখাতে সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে মিতসুবিশি এফ এক্স সিরিজের সফটওয়্যার "জি এক্স ডেভেলপার" নিয়ে আলোচনা করাই ভালো। কারন সম্পূর্ণ কোর্সটাই এর উপর ভিত্তি করে লেখা। তবে অন্যান্য সফটওয়্যার গুলি প্রায়ই সেমিলার।

জি এক্স ডেভেলপার (GX-Developer) সফটওয়্যার চালু করনঃ

এটি একটি উইন্ডোজ বেজ লেডার প্রোগ্রামিং/মনিটরিং সফটওয়্যার। কম্পিউটারের সিরিয়াল পোর্ট, পিসি এবং পিএলসির মধ্যে কমুনিকেট করার জন্য ব্যাবহার করা হয়। জি এক্স ডেভেলপার সফটওয়্যার, উইন্ডোজ ৯৫, ৯৮, এন টি, ২০০০ এবং এক্স পি তে রান করে থাকে। তবে উইন-৭ এও চলে, আমি চেষ্টা করে দেখিনি।

এই সফটওয়্যার দুই ভাবে শুরু করতে পারেন। ডেস্কটপের আইকনে ডাবল ক্লিক করে অথবা স্টার্ট মেনু থেকে সিলেক্ট করে ওপেন করতে পারেন। প্রত্যেকবার স্টার্ট হলে পেজটি নিচের মত দেখাবে।

 


 অন্ধকারময় ধুসর এলাকাটি, যেখানে কর্মক্ষেত্র লেখা আছে, সেখানে লেডার ডায়াগ্রাম লেখা/দেখা যায়। টুলবারে অনেক অপশনই দেখা যায়, কিন্তু ব্যাবহার খুবই কম সংখ্যক হয়ে থাকে। কাজের বৃহত্তর প্রয়োজনে এই টুলবার গুলি খুলা এবং বন্ধ করা যাবে।


টুল্বারগুলি প্রয়োজনে ভিউ সিলেক্ট করে নিতে পারেনঃ

. ভিউ এর অধিনে টুলবার নির্বাচন করুন।

. স্টেন্ডার এবং LD সেম্বল চেক করুন, বাকিগুলি আনচেক করুন।

. ভিউ এর অধিনে প্রোজেক্ট ডাটা লিস্ট খুজে বের কারুন।

. প্রয়োজন না থাকলে প্রোজেক্ট ডাটা লিস্ট ডিসিলেক্ট করুন।


 

 নতুন প্রোজেক্ট তৈরিঃ

. তিন ভাবে নতুন প্রোজেক্ট তৈরি করা যায়।

প্রোজেক্ট মেনুর অধিনে সিলেক্ট নিউ।

Ctrl-N চাপতে পারেন।

টুলবার বাটনে নিউ ডকুমেন্ট এর জন্য ক্লিক করতে পারেন।


 

. ড্রপডাউন মেনু থেকে পিএলসি সিরিজ সিলেক্ট করুন। এই পাঠের জন্য FXCPU সিলেক্ট করতে পারেন।

. ড্রপডাউন মেনু থেকে পিএলসি টাইপ সিলেক্ট করুন। এই পাঠের জন্য FX3U(C) সিলেক্ট করতে পারেন।

. যদি পছন্দ হয়, তবে পাথ নাম এবং প্রোজেক্ট নাম, ভালো একটি টাইটেল এখন দিতে পারেন। এই সময় যদিও এগুলির প্রয়োজন নাই, তবে এই ইনফরমাশন গুলি পরবর্তীতে প্রোজেক্ট সেভ করার সময় দেয়ার প্রয়োজন হবে।

. এখন ওকে চাপুন।

লেডার সংশোধন করনঃ

আমরা এখন একটি বেসিক লেডার প্রোগ্রামে প্রবেশ করবো। এই সিম্পল লেডার প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য নিচের ধাপগুলি ফলো করুন।

 

 

. টুলবারের নরমালি ওপেন কন্টাক্ট(NO) বাটনে ক্লিক করুন।


 

 . যে ডায়লগ বক্সটি আসবে সেখানে X0 লিখুন এবং ওকে চাপুন।

. বসানো বক্সের উপর ডাবল ক্লিক করুন।

. বামদিকের ডায়লগ বক্স এ একটি  ড্রপডাউন মেনু আছে। সেখান থেকে নরমালি ক্লোজ(NC) সেম্বল সিলেক্ট করুন এবং টেক্সবক্সে X1 লিখে ওকে চাপুন।

. কি বোর্ডের F7 বাটন চাপুন। পপ আপ বক্সের টেক্সে Y0 লিখুন এবং ওকে চাপুন। এতে একটি আউটপুট কয়েল ওপেন হবে।

নোটঃ এখানে সেম্বল সিলেক্ট করার জন্য তিনভাবে দেখানো হয়েছে। টুলবার, ড্রপডাউন মেনু এবং কীবোর্ড শর্টকাট।

এখন আমরা দেখবো, কিভাবে প্রোগ্রাম এডিট করা যায়ঃ

. লেডারের একটি ধাপে ক্লিক করুন। এডিট পুল-ডাউন মেনুতে যান।

. ডিলেট লাইন সিলেক্ট করুন। দেখবেন লেডারের ধাপটি নাই হয়ে গেছে।

. পুনরায় এডিট মেনুতে আনডু সেলেক্ট করুন। দেখবেন লেডারের ধাপটি দেখা যাচ্ছে।

. X0 এর উপর রাইট ক্লিক করুন। ডিলেট রো সিলেক্ট করুন। দেখবেন X0 নাই হয়ে গেছে।

১০. X1 এর উপর রাইট ক্লিক করুন। ডিলেট রো সিলেক্ট করুন। দেখবেন X1 নাই হয়ে গেছে।

১১. লেডারের ধাপে রাইট ক্লিক করুন এবং আনডু সিলেক্ট করুন। দেখবেন X1 দেখা যাচ্ছে।

১২. লেডারের ধাপে রাইট ক্লিক করুন এবং আনডু সিলেক্ট করুন।

 

এখন খেয়াল করবেন যে, আনডু কাজ করছে না। এখানে আনডুর জন্য শুধুমাত্র ১ লেভেল কাজ করে থাকে।

নতুন করে আবার লেডারের ধাপ এবং রো যুক্ত করে, নতুন ধাপের জন্য স্পেস দিয়ে নতুন একটি কন্টাক্ট বসিয়ে তাতে X0 লিখতে হবে।

এখন লক্ষ্য করবেন লেডারের ধাপগুলি ধুসর বর্ন দেখা যাচ্ছে। যা প্রোগ্রামের একটি স্কেচপেড হিসাবে কাজ করছে। অর্থাৎ এটিকে কনভার্ট করতে হবে। কনভার্ট করতে, কনভার্ট মেনুতে গিয়ে কনভার্ট সিলেক্ট করুন, অথবা F4 বাটন চেপে, অথবা কর্মক্ষেত্র এলাকায় রাইট ক্লিক করে কনভার্ট করতে পারেন। কনভার্ট হলে ধুসর এলাকাটি সাদা দেখাবে। যদি লজিকে কোন ভুল বা অসম্পূর্ণ থাকে, তবে ইরর দেখাবে এবং ইরর মেসেজের কারনে কনভার্ট হবে না। এবং আনকনভার্ট কোডগুলিকে সফটওয়্যারটি সেভ করতে অথবা পিএলসিতে ডাউনলোড করতে অনুমতি দেবেনা।

ভিউ পুল-ডাউন মেনুতে ক্লিক করুন এবং ইন্সট্রাকশন লিস্ট সিলেক্ট করুন। এখানে লেডার লজিক ডায়াগ্রাম এর পরিবর্তে তার বর্নমালা(abbreviation) এবং এড্রেস গুলি দেখতে পাবেন।

দেখতে এই রকমঃ

0     LD X0
1     ANI X1
2     OUT Y0
3     END

এটি হল লেডার লজিক ডায়াগ্রাম, যা ইন্সট্রাকশন লিস্ট হিসাবে দেখানো হয়েছে। এবং এই ফরমেটটি পিএলসি ভালোভাবে বুঝতে পারে। লেডার ডায়াগ্রামটি পুনরায় ভিউ মেনুতে গিয়ে দেখতে পারবেন। এখন ইন্সট্রাকশন লিস্টের পরিবর্তে তা লেডার ডায়াগ্রাম হিসাবে দেখাবে। প্রোগ্রামটি আপনি টুলবারের সেভ বাটন অথবা Ctrl-S চেপে সেভ করতে পারবেন। অতঃপর তাতে একটি প্রোজেক্টের নাম দিয়ে ডায়লগ বক্সটির ইয়েস বাটনে চাপুন। বাস, হয়ে গেলো প্রোগ্রাম তৈরি এবং সেভ করা।

আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী টিউনে থাকবে.....................

"প্রোগ্রাম ট্রান্সফার", "অনলাইন এডিটিং", "প্রোগ্রামের অপারেশন মনিটর", "বিট চালু এবং রেজিস্টার পরিবর্তন" করা।

 

সবাই ভাল থাকবেন এই কামনায় শেষ করছি। "আল্লাহ হাফেজ"

 

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-১১]

 

 

আজ থাকবে "প্রোগ্রাম ট্রান্সফার" এবং "অনলাইন এডিটিং" করা।

আজকের এই পাঠ প্রোগ্রাম তৈরি এবং সংশোধন করার অবশিষ্ট অংশগুলি। যা ১০তম পর্ব থেকে শুরু হয়েছে।

প্রোগ্রাম ট্রান্সফারঃ-

একটি প্রোগ্রাম ট্রান্সফার করতে পিএলসিকে অবশ্যই স্টপ মুডে রাখতে হয়। এটি করতে পিএলসির সিপিইউর মধ্যে একটি কী সুইচ আছে যা স্টপ পজিশনে রাখতে হবে। এই কাজটি সফটওয়্যার এর মাধ্যমেও করা যায়, যদি পিএলসি রান অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় রিমোট অপশন কাজ করে থাকে। পিএলসি রান অবস্থায় প্রোগ্রাম ট্রান্সফার অথবা ডাউনলোড এর চেষ্টা করা হলে তা দ্রুত নিজেই স্টপ মোডে চলে যাবে এবং প্রোগ্রাম ডাউনলোড করার পর রিমোট অপশনের মাধ্যমে পিএলসিকে স্টার্ট করবে। ট্রান্সফার করার জন্য নিচের স্টেপগুলি ফলো করুন।

) Online মেনুতে Write to PLC সিলেক্ট করুন।

) সিলেক্ট Param + Prog.

) Execute এ ক্লিক করুন।

প্রোগ্রেস বারে প্রোগ্রাম ডাউনলোড প্রোসেস দেখাবে, এবং ডাউনলোড শেষ হলে একটি পপ আপ ডায়লগ বক্সে ডাউনলোড শেষ হয়েছে দেখাবে। এখন OK চাপুন। পিএলসিকে রান মুডে সুইচ করুন।

অনলাইন মেনুতে আরও দুটি অপশন রয়েছে, Read from PLC এবং Verify.

"Read from PLC" এটি দ্বারা জিএক্স ডেভেলপার এর মাধ্যমে পিএলসি হতে প্রোগ্রাম আপলোড করা যায় এবং তা দেখা যায়। এটি ব্যাবহার করে পিএলসির প্রোগ্রামকে পরিবর্তন করা সম্ভব। কিভাবে তা নিচে দেখুন।

 

) Read from PLC সিলেক্ট করুন।

) Param + Prog সিলেক্ট করুন।

) Execute এ ক্লিক করুন।

) সব ঠিক থাকলে একটি পপ আপ বক্স আসবে, তখন OK চাপুন।

"Verify" এটি দ্বারা পিএলসি তার নিজস্ব প্রোগ্রামের সাথে ডিসপ্লে প্রোগ্রামের তুলনা করে থাকে। এটি বিশেষত ব্যাবহার হয়ে থাকে, যদি কারো দ্বারা কর্মক্ষেত্রে প্রোগ্রামের কোন পরিবর্তন হয়েছে সন্দেহ করা হয়। তাছারাও যদি প্রোগ্রামার দ্বারা কাজের সময় ভুলবশত কোন পরিবর্তন হয়ে থাকে, তবে এটি দ্বারা প্রোগ্রামকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব। কিভাবে করবেন তা দেখুন।

) Verify with PLC সিলেক্ট করুন।

) Param + Prog সিলেক্ট করুন।

১০) Execute এ ক্লিক করুন।

১১) ভেরিফাই স্ক্রিনটি বন্ধ করার জন্য ডানদিকে উপরের X এ চাপুন।

জিএক্স ডেভেলোপার আপনাকে প্রোগ্রাম তুলনা করে পরিবর্তনশীল পার্থক্যের একটি লিস্ট দেখাবে।

 

বিদ্রঃ যদি প্রোগ্রামের শেষে END স্টেটমেন্ট লেখা না হয় তবে ডাউনলোড হতে আনলিমিটেড সময় বা ইরর দেখাতে পারে। তাই এই স্টেটমেন্ট খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। পিসির সাথে পিএলসির সঠিক কমুনিকেশন থাকতে হবে। এবং তা অবশ্যই ডাটা ক্যেবলের মাধ্যমে। ভুল সংযোগে কমুনিকেশন ইরর দেখাবে।

অনলাইন এডিটিংঃ

আমরা এতক্ষণে অবশ্যই জানতে পেরেছি কিভাবে একটি ছোট প্রোগ্রাম লেখা যায় এবং তা পিএলসিতে ডাউনলোড করা যায়। কিন্তু আমরা যে প্রোগ্রামটি লিখেছি তা একটি কম্পিউটারে, যাকে অফলাইন এডিটিং বলা হয়। যদি কম্পিউটার পিএলসির সাথে সংযোগ করে পিএলসি স্টপ এবং প্রোগ্রাম আপলোড/ডাউনলোড না করে ভিতরের প্রোগ্রমকে সরাসরি পরিবর্তন করা যায়, তাকে অনলাইন এডিটিং বলে।

বিদ্রঃ একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, যে সকল পিএলসিতে অনলাইন এডিট করার মত র‍্যম এবং ইইপিরম আছে শুধু তাতেই এই কাজ করা সম্ভব।

কিভাবে করবেন দেখুন।

) Online পুল ডাউন মেনুতে ক্লিক করুন।

) Monitor এ যান।

) Monitor(Write Mode) এ ক্লিক করুন।

) প্রয়োজনিয় ধাপগুলি পরিবর্তন করুন, যেগুলি দেখতে নিচের মত।


 


বিদ্রঃ লেডার ধাপের কোন পরিবর্তন করলে প্রোগ্রাম অবশ্যই কনভার্ট করে নিতে হবে।

ঠিক এই সময় আপনার প্রোগ্রামটি পিএলসির মেমোরিতে স্থান পেয়েছে, কিন্তু আপনার হার্ড ডিস্কে স্থান পায়নি। তাই এখন একটি ভাল সময় প্রোজেক্টি আপনার কম্পিউটারে সেভ করে নেয়া।

যে সার্কিটটি আপনি তৈরী করেছেন এটিকে লাছ এবং হোল্ড(LATCH and HOLD) সার্কিট বলে। এটি একটি খুবই কমন সার্কিট। X10 একটি ক্ষনস্থায়ী কন্টাক্ট, যেমন একটি পুশবাটন, যা একটি মেশিনকে স্টার্ট করে। একটি শাখা ছাড়া, একটি মেশিন ততক্ষণ চলবে, যতক্ষণ আপনি পুশবাটন পুশ অবস্থায় ধরে রাখবেন। এই অবস্থায় X10 অফ থাকলেও Y0 অন থাকবে এবং শাখাটিকে চালু রাখবে (যদিও প্রথম একবার পুশ অন করতেই হবে)যে পর্যন্ত আপনি X11 পুশবাটন টি দ্বারা স্টপ না করবেন সেই পর্যন্ত মেশিন চলতেই থাকবে (অর্থাৎ Y0 আউটপুট দিতে থাকবে)

আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী পর্বে থাকবে,

"প্রোগ্রামের অপারেশন মনিটর", "বিট চালু এবং রেজিস্টার পরিবর্তন" করা।

সবাই ভালো থাকবেন। আর কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

"আল্লাহ হাফেজ"

পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-১২]

 

 

"প্রোগ্রামের অপারেশন মনিটর", "বিট চালু এবং রেজিস্টার পরিবর্তন" করা।

আজকের এই পাঠ প্রোগ্রাম তৈরি এবং সংশোধন করার অবশিষ্ট অংশগুলি। যা ১০তম পর্ব থেকে শুরু হয়েছে।

প্রোগ্রামের অপারেশন মনিটরঃ

জিএক্স ডেভেলপারে এটা সম্ভব যে প্রোগ্রামের ভিতরে কি হচ্ছে তা দেখা এবং প্রোগ্রামের বিট অবস্থাগুলি চেক করা। দেখার এই প্রক্রিয়াকে প্রোগ্রাম মনিটরিং বলা হয়। কিভাবে দেখবেন..................

  • ) Online পুল ডাউন মেনুতে ক্লিক করুন।
  • ) Monitor এ যান।
  • ) Monitor Mode সিলেক্ট করুন।

একটি ছোট পপ আপ বক্স দেখা যাবে, সেখানে পিএলসি মুড (রান বা স্টপ) এবং প্রোগ্রামের গড় স্কেন সময় প্রদর্শন করবে। এখন দেখতে পাবেন X10 এবং Y0  হাইলাইট করা নাই, কিন্তু X11 হাইলাইট করা। এখানে বোঝা যায় যে, ইনপুট ডিভাইস সংযুক্ত আছে কিনা, অথবা আউটপুট ডিভাইস এনার্জি পেয়েছে কিনা। একটি হাইলাইট করা কন্টাক্ট এবং কয়েলে এ বোঝা যায় যে এটি সংযুক্ত অবস্থায় আছে। X10 এবং Y0, যথাক্রমে তাদের ইনপুট এবং আউটপুট দেখুন, এরা অন কন্তু সত্য (true) নয়। অপরদিকে X11 দেখুন, যার ইনপুট দেখা যায় অফ, কিন্তু এটি সত্য (true).

টগল সুইচ দ্বারা X10 কে অন করুন। যখন টগল সুইচ অন হবে, তখন প্রোগ্রাম বিট হাইলাইট হবে। কিন্তু X11 কে অন করলে হাইলাইট থেকে নরমালে আসবে। এই অবস্থায় লেডারের ধাপটি সত্য (true) হবে না। অর্থাৎ একটি লেডারের ধাপ ওই সময় সত্য (true) হয়, যখন ধাপটি সম্পূর্ণই হাইলাইট হয়। যদি X10 এবং X11 দুটিই হাইলাইট হয়, তখন ধাপটি সত্য (true) হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, লেডারের ধাপ সত্য (true) হলেই আউটপুট অন হবে। অর্থাৎ Y0 হাইলাইট হবে। Y0 হাইলাইট হলে আউটপুট সক্রিয় হবে।


 

 লেডার মনিটরে প্রবেশ

এই বৈশিষ্ট্যটির মাধ্যমে প্রোগ্রামার একটি নন-সিকুইনশিয়াল পদ্ধতিতে একাধিক ধাপ নিরীক্ষণ করতে পারবেন।

  • ) লেডারের ধাপটি ৩ বার কপি এবং পেস্ট করুন। চারটি আলাদা ধাপ তৈরি করার জন্য কন্টাক্ট এবং কয়েলের ঠিকানাগুলি পরিবর্তন করুন।
  • ) প্রোগ্রামটি মনিটর মোডে রাখুন।
  • ) Online  Monitor  Entry Data Ladder এ যান।
  • ) Window  Tile Horizontally এ যান।
  • ) নিচের উইন্ডোতে লেডারের ৪ নম্বর ধাপটি হাইলাইট করুন।
  • ) হাইলাইট ধাপটি ক্লীক করে ধরে রাখুন, উপরের স্ক্রিনে ড্রাগ করে ক্লিক রিলিজ করুন।
  • ) ১ম এবং ৩য় লেডার ধাপের জন্য ৫নং এবং ৬নং স্টেপ আবার করুন।
  • ) উপরের স্ক্রিন এ ক্লিক করে এটিকে একটিভ করে মিনিমাইজ করুন।
  • ) উইন্ডোটি মনিটর মোডে রাখুন।
  • ১০) সুইচগুলি টগল করুন এবং রেজাল্ট দেখুন।

 

 

বিট চালু এবং রেজিস্টার পরিবর্তনঃ

এর দ্বারা প্রোগ্রাম লেখার সময় মাঝে মাঝেই পিএলসির কোড পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি সেকশন রান করাতে পারবেন। প্রোগ্রামার কোড দ্বারা এই পরীক্ষা করে প্রোগ্রামের একটি ছোট অংশ সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন। সুইচ এবং অন্যান্য ডিভাইসের ব্যবহার না করে এটি করা সম্ভব। একেই বিট চালু (ফোরসিং) করা বলে। কিভাবে তা নিচে দেখুন।

  • ) পিএলসি রান মুডে রাখুন।
  • ) প্রোগ্রাম ওপেন করে জিএক্স ডেভেলপার কে মনিটর (রাইট) মুডে রাখুন।
  • ) সিফট (Shift) বাটন চেপে রেখে X10 এ ডাবল ক্লিক করুন।
  • ) পরিবর্তন লক্ষ্য করে ৩ নং কাজটি আবার করুন।

উল্লেখ্য যে, Y0 অন হয়, যখন X10 বন্ধ। এফ এক্স সিরিজ পিএলসিতে বাস্তবে একটি সঠিক ইনপুট, শুধুমাত্র একটি স্কেন ফোর্স করতে পারে। বাস্তবে আউটপুটগুলি, যা লেডার লজিকে ব্যবহৃত হয় তা শুধুমাত্র একটি স্কেনের জন্য ভালভাবে ফোর্সিং করা যায়। ফিজিক্যাল ইনপুটে যে কোন ঠিকানা দিলে তা বাস্তব ইনপুট অবস্থার সাথে প্রতিস্থাপন করে, এটি হয় যখন পরবর্তী সময়ে পিএলসি স্ক্যান এর শুরুতে ফিজিক্যাল ইনপুট পড়তে হয়। পিএলসি কোড ব্যবহৃত আউটপুট, পরবর্তী পিএলসি স্ক্যানের উপর ভিত্তি করে প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত আউটপুট অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করে।  অভ্যন্তরীণ বিট, যেমন M রিলে, যাকে ফোর্সলি অন করে রাখা যেতে পারে, যতদিন পর্যন্ত এরা পিএলসির প্রোগ্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রত না হয়।

 

কন্টাক্ট এবং রিলেগুলি অন এবং অফ করার জন্য এটি একটি সহজ উপায়। এটি কখনই করা ঠিক নয়, যখন পিএলসি একটি রানিং সিস্টেমের সাথে যেকোনভাবে সংযুক্ত থাকে। লক্ষ্য রাখা উচিৎ যে, কোন সতর্ক বার্তা পরিবর্তন ঘটার মুহূর্তে এবং যা বিপজ্জনক ফলাফল পর্যন্ত ঘটাতে পারে। নীচে দেখুন।

  • ) Online  Monitor  Entry Data Monitor  Device Test এ যান।
  • ) ডিভাইস টেস্কবক্স এর মধ্যে বিট ডিভাইস বিভাগে X10 লিখুন।
  • ) Force ON ক্লিক করুন।

এটা সম্ভব যে এই ডায়লগ বক্সের মাধ্যমে ডাটা রেজিস্টারের মধ্যে সঠিক ভাবে সংখ্যাগুলি প্রবেশ করানো।

  • ) শব্দ ডিভাইস বিভাগে ডিভাইস টেস্কবক্স এর মধ্যে D0 লিখুন।
  • ) মান সেট টেস্কবক্স এর মধ্যে 10 লিখুন।
  • ) Set command বাটন টি ক্লিক করুন।

ডাটা রেজিস্টার D0 তে 10 সেট হয়েছে কিনা তা চেক করুন।

  • ) Online  Monitor  Device Batch Monitor এ যান।
  • ) ডিভাইস টেস্কবক্স এর মধ্যে D0 লিখুন।
  • ) Start Monitor বাটন টি ক্লিক করুন।

আজ এই পর্যন্তই.............................................

আশা করি এই পর্যন্ত অনেকটাই শিখাতে পেরেছি

 

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad